Logo

শ্রীকৃঞ্চের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: এ শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ

RMG Times
মঙ্গলবার, আগস্ট ২৭, ২০২৪
  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্রীকৃঞ্চের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হিন্দুদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করে টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি:। যেহেতু শ্রীকৃঞ্চের শুভ জন্মাষ্টমী হিন্দুদের একটি আনন্দের দিন । তাই তাদের সাথে এই আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য কারখানার মহাব্যবস্থাপক উক্ত বিষয়টি পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করেন। তাদের মনোবল বৃদ্ধি এবং হিন্দু ,মুসলিম,বৌদ্ধ,খৃষ্টান সব ধর্মাবলম্বীর লোকজনের মধ্যে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। এই বিষয়টি বিবেচনা করে এই অনুষ্ঠানটির করার সিদ্ধান্ত নেন কারখানার মহাব্যবস্থাপক হাজী মন্জুরুল ইসলাম।

শ্রীকৃঞ্চের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হিন্দুদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার বিতরন করার উদ্যোগটি ছিল অনেক প্রশংসনীয়।সম্পূর্ন কারখানা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তালিকা করে তাদেরকে মিষ্টি,এবং বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাওয়ার জন্য দেওয়া হয়।সেখানে মুসলিমসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।


সালাউদ্দিন নবীর: আজ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আমাদের কারখানার শ্রদ্ধেয় জি এম স্যার এর উদ্দোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সকল ধর্মজাতি নির্বিশেষে সবাইে ক একসাথে সমান মর্যাদার আসনে বসানো হয়েছে।আমরা টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: সবাইকে সমান অধিকার দেই এটাই প্রমানিত হল।তবে আমার পক্ষ থেকে জি এম স্যারকে অভিনন্দন যেনো আমরা সব সময় সবাইকে সমান মর্যাদা দিতে পারি এবং এ ধরনের অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকবে।


মিরাজ হাওলাদার: শ্রী কৃঞ্চ এর জন্মাষ্টমীর আয়োজনটা ছিল অনেক প্রশংসার দাবিদার।আমাদের জি এম স্যার এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি করা হয় এতে সকল ধর্ম লোক এক হয়ে পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে উৎযাপন করা হয়।কোন ধর্মের প্রতি বৈষম্য নয়। আমরা সবাই মানুষ। যার ধর্ম সে পালন করবে এত কোন বাধা কিংবা বিপত্তি নেই । আমাদের জি এম স্যার এটা আমাদের সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

প্রবীর চন্দ্র: আমাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে এরকম একটা আয়োজন বরার জন্য আমাদের শ্রদ্ধেয় জি এম স্যার তাকে আমার অন্তরে অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানাই।আমাদের ফ্যাক্টরি টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: সকল হিন্দু ধর্মবলাম্বীদের জন্য ভগবান শ্রীকৃঞ্চের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে যে,আয়োজনটা করেছে আজকে আসলে সত্যি সেটা প্রশংসার দাবিদার ।আজকে তারা আবারও প্রমান করেছে টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: সত্যি কোন ধর্ম,বর্ন,জাতি,গোষ্ঠী একক কারো কোন কিছু না এটা সবার।এখানে কোন বৈষম্য হয় না।বৈষম্যহীনভাবে সবাই এক হয়ে কাজ করে।এখানে কোন ধর্মকে ছোট করে দেখা হয় না সকল ধর্মের সবাই সমান।এখানে সবাই সবার সঙ্গে আন্তরিকভাবে ভ্রাতৃত্বপূর্ন আচরনে কাজ করে সত্যিই এটা প্রশংসার দাবিদার।।এখানে কে মুসলিম,কে হিন্দু,কে খৃষ্টান,কে উপজাতি বা অন্যান্য এটা এখানে কখনো বিবেচনা করা হয় না।সবার মধ্যেই আন্তরিকতা আছে।আজকের এই আয়োজন আন্তরিকতা সব সময় যেন থাকে টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: এর সাবর মাঝে এটাই আমার কামনা এ্টাই আমার আশা।


হাচিবুল ইসলাম:
টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: এর সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই বোনদের কে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।সেই সাথে কারখানার মহাব্যবস্থাপক স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকের প্রোগ্রামের জন্য।সর্বপরি কথা হচ্ছে আমরা বাঙ্গালি জাতি ।আমাদের সকল জাতি ,ধর্ম,বর্ন নির্বিশেষে সকল ধর্মের সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান সফলভাবে পালিত হউক এটাই প্রত্যাশা।টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: এর এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকুক।


মৌসুমি মিস্ত্রি: ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি করেছে এতে আমরা অনেক খুশি। মুসলিম ধর্মের হয়েও হিন্দুদের প্রতি জি এম স্যারের এই আন্তরিকতার আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।আমরা কারখানায় কাজ করে এই দিনটি কখনই ভালোভাবে উৎযাপন করতে পারি না।কিন্তু জি এম স্যারের সহযোগিতায় আজকের এই দিনটি আমরা কারখানাতে থেকেও আনন্দের সাথে উৎযাপন করতে পেরেছি এবং কারখানার পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত।


সোনালী দাস:
আমি সোনালী দাস। আমার চাকরি জীবনে বিগত দিনে অনেক কোম্পানীতে চাকরি করেছি কিন্তু কখন আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রী কৃঞ্চের কোন আয়োজন বা আলোচনা পাই নি।আজকে টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: এর পক্ষ থেকে শ্রী কৃঞ্চের জন্মাষ্টমী পালন করার জন্য আমি সোনালী দাস বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে টেক্সট্রিম ফ্যাশন লি: এর জি এম হাজী মন্জুরুল ইসলাম স্যার সহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই ।আমি আশা করি এ রকম প্রত্যেকটা পোশাক কারখানায় পালিত হোক।

শান্তনা রানী: শ্রীকৃঞ্চ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে স্যারেরা আমাদের জন্য যে আয়োজন করেছেন আমাদের সবারই খুবই ভালো লেগেছে।আমরা উপবাস আছি আজ আমাদের খুব আনন্দ লাগছে।



জি এম হাজী মন্জুরুল ইসলাম বলেন, কৃঞ্চ জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলবলম্বীদের অত্যান্ত গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পন্ন একটা দিন। তাই কারখানায় কর্মরত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আমার ভালোবাসা একজন মুসলমান হিসাবে আমার প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান যেমন গুরুত্বপূর্ন এবং আবেগের তেমনি কৃঞ্চ জন্মাষ্টমী ও হিন্দু ভাই বোনদের নিকট অনেক আবেগ ও ভালোবাসার এবং সমান গুরুত্বপূর্ন । আমি মনে করি বাংলাদেশে আমরা সকল ধর্মের লোক সমঅধিকারে বসবাস করি।এখানে আদিবাসী আছে কিন্তু আমরা কাইকে আখ্যায়িত করতে চাই না।বাংলাদেশের সকল ধর্মের লোক। সবাই বাংলাদেশী, সবারই সমান অধিকার।সবাই আবেগ এবং অনুষ্ঠানগুলো স্বা ধীনভাবে নিজের মত করে পালন করবে আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা চাই হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খৃষ্টান সহ সব ধর্মের ভিতরে সামাজিক ভাতৃত্ব বজায় থাকবে।কোন ধর্মের লোক কোন ধর্মের লোকের প্রতি বিদ্বেষ করবে না। সবাই সামাজিক সম্প্রদায়ের বন্ধন অটুট রেখে একসাথে কাজ করবে। এক অপরের সমস্যায় এগিয়ে আসবে এবং সাহায্য সহযোগিতা করবে। কোন ধর্মের প্রতি বৈষম্য থাকবে না।