তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান সদস্যদের চিঠি দিয়ে বলেছেন, ব্যবসার খরচ ও মজুরি অনিবার্যভাবেই বাড়বে। ফলে ব্যবসা টেকাতে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করার এখনই সময়। দক্ষতা থাকলেও খরচ বেড়ে গেলে কিছু পণ্যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে না। তাই কোন ধরনের পণ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। অন্যদিকে খরচ যথাসম্ভব কমিয়ে আনার পাশাপাশি সম্পদের ব্যবহার ও অপচয় কমিয়ে আনতে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
পোশাকশ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণে গত এপ্রিলে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। চলতি বছরের শেষ দিকে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করবে বোর্ড। মূলত এ বিষয়ে সদস্যদের প্রস্তুতি নিতেই গত বৃহস্পতিবার বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠির বিষয়টি তিনি নিজেই হোয়াটসঅ্যাপে বিজিএমইএর মিডিয়া এক্সচেঞ্জ গ্রুপের মাধ্যমে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
সদস্যদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘নতুন মজুরি কাঠামো সম্পর্কে অনুমান করা আমাদের জন্য কঠিন। তবে আগের পর্যালোচনাগুলোয় মজুরি কীভাবে বাড়ানো হয়েছিল, সেটি আমরা দেখতে পারি। আমরাও চাই, এটি যুক্তিসংগতভাবে বাড়ুক। এই সময়ে আমাদের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী হতে হবে। এ ছাড়া কারখানা পুনর্গঠন ও বিনিয়োগের পরিকল্পনা করতে হবে।’
ফারুক হাসান আরও বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় তৈরি পোশাকের দাম নিয়ে চাপ থাকবে। নিজেদের মধ্যে পোশাকের ক্রয়াদেশে দাম কমানোর প্রবণতা দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসাকে টেকসই করবে না। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি বিদেশি ক্রেতাদের অবহিত করে পোশাকের দাম যৌক্তিকভাবে বাড়াতে তাঁদের অনুরোধ করতে হবে।
বিজিএমইএর সভাপতি গত সপ্তাহে আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) সভাপতি স্টিফেন ল্যামারকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে তিনি আগামী ডিসেম্বর থেকে উৎপাদিত হবে এমন তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশের দাম যৌক্তিকভাবে বাড়ানোর জন্য মার্কিন ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানান।
মতামত লিখুন :