Logo

প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা কমানোর সংশোধিত বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

RMG Times
শনিবার, জুলাই ২৯, ২০২৩
  • শেয়ার করুন


২০২২ সালে শ্রমবিধি সংশোধনীর মাধ্যমে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা কমিয়ে আনা সংক্রান্ত বিধি ৩৯(ক)-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুলাই) রিট দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম। তিনি বলেন, এর আগে গত ২৪ জুলাই ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষে সেক্রেটারি হাসিনা রশিদ, বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ফেডারেশনের (বিআইজিইউএফ) পক্ষে সেক্রেটারি মো. রাশেদুল আলম রাজু, আওয়াজ ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী ও সেক্রেটারি নাজমা আক্তার এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষে সেক্রেটারি খাদিজা আকতার রিটটি দায়ের করেন। মামলার ফাইলিং আইনজীবী হয়েছেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

রিটে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয় সচিবসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধাগুলো যথাযথভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অথচ ২০২২ সালে শ্রমবিধি ২০১৫ সংশোধনীর মাধ্যমে কর্মজীবী প্রসূতি নারীদের সেই অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। আইন বহির্ভূতভাবে মাতৃত্বকালীন সুবিধা সম্পর্কিত নারী কর্মীদের অধিকারকে নতুন করে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। শ্রম বিধিমালা ২০১৫ সংশোধনের পরে মাতৃত্বকালীন ভাতা কমানো নারী শ্রমিকদের অধিকারের উপর একটি মারাত্মক আঘাতের শামিল। এমনকি বিষয়টি শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যার কারণে এই শ্রম বিধির সংশোধিত বিধি ৩৯(ক) শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ৪৮(২) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অর্থাৎ সংশোধিত বিধিতে প্রদত্ত অংকের হিসাব গ্রহণ করলে মূল শ্রম আইনে প্রদত্ত প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা কমে যায়। তাই এ রিট দায়ের করা হয়েছে।

শ্রম আইন, ২০০৬-এর ৪৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে যে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদেয় হবে তা উপধারা (২)-এ উল্লেখিত পন্থায় গণনা করে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক যে ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য, গড় মজুরি হারে সম্পূর্ণ নগদে প্রদান করতে হবে; (২) উপধারা (১) এর প্রয়োজনে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক গড় মজুরি গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট নারী কর্তৃক এই অধ্যায়ের অধীন নোটিশ প্রদানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসে তার প্রাপ্ত মোট মজুরিকে ওই সময়ে তার মোট প্রকৃত কাজের দিনগুলো দ্বারা ভাগ করতে হবে।

আর ২০২২ সালে সংশোধিত বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫-এর ৩৯(ক) বিধিতে বলা হয়েছে, (১) ধারা ৪৮(২) অনুযায়ী প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা হিসাব করার ক্ষেত্রে শ্রমিকের সর্বশেষ মাসিক প্রাপ্ত মোট মজুরিকে ২৬ দ্বারা ভাগ করে ১ দিনের গড় মজুরি নির্ধারণ করতে হবে; (২) প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্য তহবিলের বিধান থাকলে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধাভোগীর ভবিষ্য তহবিলে প্রদেয় চাঁদা তার প্রাপ্য সুবিধা হতে আইনের বিধান অনুযায়ী কর্তন করতে হবে।

কৃতজ্ঞতাঃ বাংলা ট্রিবিউন