বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে কম সমন্বিত অঞ্চলগুলোর একটি। বিশ্বব্যাংকের মতে, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে উল্লেখযোগ্য মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য এখন পর্যন্ত সেই বাণিজ্য সম্ভাবনার মাত্র এক-পঞ্চমাংশে পৌঁছেছে।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনে সম্পাদকীয়তে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে সার্ক দেশগুলো প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেডিং অ্যারেঞ্জমেন্ট (সাপটা) সই করে, যা ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে কার্যকর হয়। এটি ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য এলাকা (সাফটা) দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে আঞ্চলিক বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির সুযোগ এখনও অনেকাংশে অব্যবহৃত রয়ে গেছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য আনুমানিক ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা সম্ভাব্য ৬৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য প্রবাহের মাত্র ৫ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে সম্পাদকীয়তে।
কৃতজ্ঞতাঃ সমকাল
মতামত লিখুন :