জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৭৫তম এবং আরএমজি টিসিসির ১৫তম সভা হয় গত ৬ জুন। সভায় গুরুত্ব পায় শিল্পকারখানার বেতন-ভাতার বিষয়টি। ঈদুল আজহার ছুটির আগেই শ্রমিকদের ঈদের বোনাস এবং জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
তবে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও জুন মাসের অর্ধেক বেতন এবং ঈদ বোনাস দেওয়া হয়নি দেশের ৯ হাজারের বেশি কারখানায়।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেল পর্যন্ত মে মাসের বেতন হয়নি এক হাজার ৮৫টি কল-কারখানায়। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, বেপজা, পাটকল এবং শিল্পাঞ্চল পুলিশ সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত দেশের ৯ হাজার ৯১৫টি কল-কারখানার মধ্যে মে মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৮৩০টি কল-কারখানায়। এখনো এক হাজার ৮৫টি কল-কারখানার বা প্রায় ১১ ভাগ কারখানায় বেতন পরিশোধ করা হয়নি।
বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত এক হাজার ৬২৪ কারখানার মধ্যে মে মাসের বেতন হয়েছে এক হাজার ৪৮৪টি কারখানায়। ফলে এখনো ১৪০টি কারখানায় মে মাসের বেতন হয়নি। তবে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গত ঈদুল ফিতরের মতোই শতভাগ কারখানায় বেতন বোনাস হবে।
বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত ৬৯৯টি কারখানার মধ্যে ৬১১ কারখানার বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে এখন বেতন বাকি আছে ৪১টি কারখানায়। বিকেএমইএ’র এক পরিচালক জানান, সমন্বয় করে শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস হবে সে উদ্যোগ এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিটিএমইএ সদস্যভুক্ত ৩৫৯টি কারখানার মধ্যে ৩১৮ কারখানার মে মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে এখনো মে মাসের বেতন হয়নি ৪১টি কারখানায়। বেপজার ৩৯২টির মধ্যে বেতন বাকি আছে ৭টি কারখানায়। পাটকলের ৯০টি কারখানায় মে মাসের শতভাগ বেতন পরিশোধ হয়েছে।
আরও ৬ হাজার ৭৫১টি অন্যান্য কল-কারখানার মধ্যে ৫ হাজার ৯৪২টির বেতন দেওয়া হয়েছে। ফলে মে মাসের বেতন পরিশোধ হয়নি ৮০৯টির। সব মিলিয়ে এখনো এক হাজার ৮৫টি বা ১০ দশমিক ৬ শতাংশ কারখানায় বেতন হয়নি।
এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে এখন পর্যন্ত জুন মাসের প্রথম ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করেছে মাত্র ৫৫টি কারখানা। অর্থাৎ এখনো জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ হয়নি ৯ হাজার ৮৬০টি কারখানায়।
এর মধ্যে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানার মধ্যে জুন মাসের বেতন হয়েছে একটিতে। জুনের ১৫ দিনের বেতন হয়নি বিকেএমইএ, বিটিএমইএ এবং বেপজার কোনো কারখানায়। পাটকলের ৯০টি কারখানার মধ্যে ১১টিতে জুনের অর্ধেক বেতন পরিশোধ হয়েছে। অন্যান্য খাতের ৬ হাজার ৭৫১টি কারখানার মধ্যে ৪৩টির বেতন দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে সারা দেশের মোট ৯ হাজার ৯১৫টি কারখানার মধ্যে মাত্র ৫৫টি কারখানায় জুনের ঘোষিত বেতন হয়েছে।
এছাড়া মোট ৯ হাজার ৯১৫টি কল-কারখানার মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৫৯৭ কারখানায় ঈদুল আজহার বোনাস দেওয়া হয়েছে। বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৩১৮টি কারখানায় এখনো বোনাস হয়নি।
কৃতজ্ঞতাঃ Jagonews24.com
মতামত লিখুন :