Logo

‘চতুর্মুখী চাপে পোশাক খাত’

RMG Times
সোমবার, মে ১৫, ২০২৩
  • শেয়ার করুন

বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী পোশাকশিল্প খাত বর্তমানে নানা চাপের কারণে নাজুক। আমাদের পোশাকশিল্প নানা কারণে চাপে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সে তুলনায় পণ্যের দাম বাড়েনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ উত্তরা কার্যালয়ে পোশাকশিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎস কর ১ শতাংশ থেকে অর্ধেক কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ কার্যকরের নীতি সহায়তা চায় তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একই সঙ্গে সরকারের কাছে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মূল্যের) হারে বিশেষ প্রণোদনারও দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে অর্থনীতিকে পরিচালনা করছে, যার প্রশংসা আন্তর্জাতিকভাবে আমরা পাচ্ছি। তবে বৈশ্বিক সংকটকে আমরা পাশ কাটাতে পারব না, বরং কিভাবে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে কিছুটা সুরক্ষিত রাখতে পারি, সেটিই হবে আমাদের কৌশল।’

রপ্তানি খাত থেকে ধারাবাহিকভাবে আয় বাড়ানোর পরও রিজার্ভের ওপর থেকে চাপ কমানো যাচ্ছে না উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, ‘২০২১ সালের আগস্ট মাসে যেখানে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলার, এখন তা কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।’

২০২০-২১ এ আমাদের রপ্তানি ছিল ৩১.৪৬ বিলিয়ন ডলার, সেটি ২০২১-২২ অর্থবছরে বেড়ে ৪২.৬১ বিলিয়ন ডলার হয়। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে আমরা ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছি, যা আগের বছর থেকে ৯ শতাংশ বেশি।

ফারুক হাসান বলেন, ‘যখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি নেগেটিভ ধারায় প্রবেশ করল তখন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে আমাদের অ্যাগ্রেসিভ কৌশল নিতে হবে। এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল রাখা, বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য ধরে রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সার্বিকভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারা সুরক্ষিত রাখতে আমাদের রপ্তানি খাতগুলো, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের সুরক্ষা এবং রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে আরো সংবেদনশীল হওয়া ও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’ এ মুহূর্তে সরকারের কাছ থেকে যে নীতি সহায়তাগুলো আমরা আশা করছি, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎস কর ১.০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে আগের মতো ০.৫০ শতাংশ করে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যকর করা। এটি করা হলে উদ্যোক্তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মধ্য মেয়াদি ব্যাবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবেন।

কৃতজ্ঞতাঃ কালের কণ্ঠ