ডেস্ক রিপোর্টঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলছে, রানা প্লাজা ভবন ধসের মতো একই ধরনের বিপর্যয় এড়ানোর জন্য একটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্প।
ইইউ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ১০ বছর আগে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণ করতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলের সকালে সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসে প্রাণ হারায় ১,১৩৬ জন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল ২,৪৩৮ জনকে।
ঢাকায় ইইউ দূতাবাস ওই ঘটনার দশম বর্ষপূর্র্তিতে টুইটবার্তায় আরও বলেছে, ইইউ বাংলাদেশের সকল স্টেকহোল্ডারদের নিরাপত্তা, শ্রম এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মান উন্নত করার প্রচেষ্টায় তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
দূতাবাস বলছে, রানা প্লাজা ছিল শ্রমিকদের অধিকারের উন্নয়ন এবং সকলের জন্য নিরাপদ কারখানা নিশ্চিত করার জন্য একটি নতুন সংগ্রামের সূচনা।
এর আগে, ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেন, “সাবেক অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের অধীনে একত্রে কাজ করা ইউনিয়ন, গ্লোবাল ব্র্যান্ড এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে চুক্তির কারণে বর্তমানে পোশাক কারখানাগুলো ‘নিরাপদ’।”
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছিল রানা প্লাজা। ভবনের প্রথম তলায় ছিল বিভিন্ন দোকান। দ্বিতীয় তলায় দোকান ও ব্যাংকের শাখা। তৃতীয় থেকে সপ্তম তলাতে ছিল পোশাক কারখানা। এরমধ্যে তৃতীয় তলায় নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেডে এবং ফ্যানটম ট্যাক লিমিটেড, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় ইথারটেক্স লিমিটেড গার্মেন্টস। অষ্টম ও নবম তলা ছিল ফাঁকা।
মতামত লিখুন :