রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার শাইনেস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেড এর শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। সড়ক অবরোধের কারণে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ থেকে আদাবর পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বেতনের দাবিতে রাস্তায় শ্রমিকেরা অবস্থান করলেও কারখানার জিএমকে তার রুমেই বসে থাকতে দেখা যায়।
ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে পোষাক শ্রমিকদের বলতে শোনা যায়, “মালিকের মেয়ে বলে দিয়েছেন ঈদের আগে শ্রমিকদের চলতি মাসের বেতন দিয়ে দিতে, কিন্তু গ্রুপ জিএম তা আটকে দিয়েছেন! বুধবার (১৯ এপ্রিল) এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কর্মীরা রাস্তায় নেমে কয়েক ঘণ্টা রাস্তা আটকে রাখলেও গ্রুপ জিএম মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের টনক নড়ছিলো না।
কর্মীদের অভিযোগ, পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে সেই সকাল থেকে তারা বেতনের দাবি করে আসলেও কেউ সাড়া দেননি। বরং যার যার হাজিরা কার্ড ধরিয়ে দিয়ে একদিন আগে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিকরা বার বার দাবি করে আসছিলেন যে, মালিকের মেয়ে টাকা দিতে বলেছে এবং ১৫ দিনের অতিরিক্ত কর্মঘণ্টাসহ বেতনের সিট অনুমোদন দিয়েছে কিন্তু গ্রুপ জি এম টাকা দিতে দিচ্ছেনা। শ্রমিকরা আরোও বলে যে গ্রুপ জিএম মালিকপক্ষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে যে বেতন দিলে ভাল কাজ করে এমন শ্রমিকরা আর চাকরিতে যোগদান করবে না।
এদিকে গ্রুপ জিএম এর ভাষ্যমতে শ্রমিকরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলবেই , গত মাস অর্থাৎ মার্চের বেতন আর বোনাস দিয়ে দেয়া হয়েছে আর বিজিএমই থেকে এ ধরনের কোন নির্দেশনা ছিলনা যে অগ্রীম বেতন দিতে হবে। গ্রুপ জিএম আরোও উল্লেখ করেন, শ্রমিকরা আন্দোলন করায় মালিকপক্ষ সেই বেতনের সিট অনুমোদন দিয়েছে।
এমন অবস্থায় পুলিশ এসে আপাতত একটা সমাধান বের করে। তেজগাও অঞ্চলের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক নিজে দায়িত্ব নিয়ে কর্মীদের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালের ভেতরই সবার ফোনে বেতনের মেসেজ যাবে।’
শ্রমিকরা বেতনের আশ্বাস পেয়ে ফিরে গেলেও বেতন দেয়া হয়েছে কিনা জানতে পরবর্তীতে শ্রমিকরা বেতন পেয়েছেন কিনা তা জানতে কোম্পানীর হেড অফিসের ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নম্বরগুলিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নম্বরগুলি বন্ধ পাওয়া যায়।
মতামত লিখুন :