ডেস্ক রিপোর্ট: অতীতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তৈরি পোশাক খাতের পৌনে ৩’শ কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভবিষ্যতে কর্মসূচি দেয়ার আগে দেশের অর্থনীতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
আজ বুধবার (৫ই জানুয়ারি, ২০২২) সকালে ইকোনমিক রির্পোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন বিজিএমইএ শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, সম্প্রতি করোনাসহ বিভিন্ন কারণে পোশাক খাতের ২৭৯টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই দেশের রাজনীতিবিদের কাছে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ প্রত্যশা করে বিজিএমইএ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নানা কারণে সম্পর্কের টানাপোড়েনে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি হলেও, পোশাক শিল্পে এর কোনো বড় প্রভাব পড়বে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতে ভালো কর্মপরিবেশ এবং কারখানার নিরাপত্তায় বাংলাদেশ এখন বিশ্ব সেরা, রানা প্লাজা বা অন্য কোনো দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে বিজিএমইএ এখন সতর্ক, তাই ক্রেতার অনুমোদন ছাড়া বাইরের কোনো কারখানায় সাব কন্ট্যাক্টের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, তৈরি পোশাক পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। ওমিক্রনের চাপ খুব বেশি না আসলে এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানির ধারা উর্ধ্বমুখী থাকবে। তৈরি পোশাক খাতে পণ্যের ন্যূনতম দাম বেঁধে দেয়া হবে।
মতামত লিখুন :