ডেস্ক রিপোর্ট: নিট গার্মেন্টে সুতা থেকে কাপড় তৈরি এবং কাপড় থেকে পোশাক তৈরিতে অপচয় হার ১৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে দুই দশক আগের নির্ধারিত এই অপচয় হার পুনরায় বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হলো। তবে এই খাতের সংগঠন বিকেএমইএ এবং বিজিএমইএ তা প্রত্যাখ্যান করে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে। তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আজ চিঠি পাঠাবেন।
তাদের দাবি বর্তমানে নিধারিত বেসিক নিট পণ্যে অপচয় সুবিধা ২৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ এবং স্পেশাল আইটেমে ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা। এ ছাড়া বর্তমানে যেসব পণ্য বন্ডে অডিট নিষ্পত্তি হয়নি এবং ডিমান্ড ইস্যু করা হয়েছে সেসব পণ্য একই হারে নিষ্পত্তি করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “সরকার দীর্ঘদিন পর বাস্তবতা অনুধাবন করে অপচয় হার বাড়ালেও প্রকৃত সমস্যা রয়েই গেল।”
তিনি আরও বলেন যে, এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি সরেজমিনে এক ধরনের হিসাব করেছে, আর সিদ্ধান্ত দিয়েছে ভিন্ন রকম। এ ছাড়া বর্তমানে যেসব পণ্য বন্ডে অডিট নিষ্পত্তি হয়নি এবং ডিমান্ড ইস্যু করা হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে তাঁরা শিগগিরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন এই নেতা।
রপ্তানিকারকরা জানান, নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ মূলত গোলাকৃতির সাধারণ টি-শার্ট উৎপাদন করত। সে সময় অপচয় হার ছিল অনেক কম বা মাত্র ১৬ শতাংশ। কিন্তু হাল ফ্যাশনের যুগে উৎপাদনের ধরন ও মানে মূল্য সংযোজন ঘটেছে। নানা ধরনের সুতা ও ফ্যাব্রিক দিয়ে এখন বিভিন্ন ডিজাইন ও মানের নিটওয়্যার পণ্য উৎপাদন করা হয়, যেখানে অপচয় হার ৩৫-৪০ শতাংশ পর্যন্ত। কিছু কিছু পণ্যে অপচয় হার আরো বেশি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অপচয় হার ১৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার প্রস্তাব দিলেও মেনে নেননি রপ্তানিকারক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
মতামত লিখুন :