নিজস্ব প্রতিবেদক : রানা প্লাজ ধ্বসের ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মালিকের অবহেলায় নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমপরিমান ৪৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবী করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নামের একটি শ্রমিক সংগঠন। রবিবার রানা প্লাজা ধ্বসের জন্য দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে এ দাবী জানানো হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফ।
সমাবেশে রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ৪০লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকসহ শ্রমজীবি মানুষের জন্য এক ভয়াবহ শোক ও বেদনার দিন। সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধ্বসে ১১৩৭জন নিহত ২৫০০ জন পঙ্গু ও ৩০০ শ্রমিক নিখোঁজ হয়। মালিকের অবহেলায় গার্মেন্টস শিল্পে সারা দুনিয়ায় এতবড় হত্যাযজ্ঞ আর হয়নি। আর এই হত্যাকান্ডের জন্য দায়ীদের বিচার কাজ এখনও হয়নি। ভবনের মালিক কারাগারে থাকলেও গার্মেন্টস মালিক ও দায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নিহত-আহত শ্রমিকদের সরকারী ত্রান তহবিল, আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে দান অনুদান দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ কোন দান নয় অধিকার। মালিকের সমস্ত সম্পত্তি ক্রোক করে হলেও নিহত আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ওসমান আলী বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় ন্যূনতম মজুরী নেই। গার্মেন্টসে মজুরী ৫৩০০ টাকা। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এমপিদের বেতন বেড়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী পুনঃনির্ধারন করতে হবে। বর্তমান বাজার দর বিবেচনায় ন্যূনতম মজুরী ১৫০০০ টাকা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ২৪ এপ্রিল গার্মেন্টস শ্রমিক শোক দিবস এবং রানা প্লাজা ভবন ধ্বসের স্থানে ও জুরাইন কবরস্থানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবী জানান।
মতামত লিখুন :