ডেস্ক প্রতিবেদক : নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে উন্নয়নের জন্য গৃহিত পদক্ষেপের বাস্তবায়ন সন্তোষজনকভাবে এগুচ্ছে বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, পোশাক খাতে সুশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য ২০১৫ ও ২০১৬ সালে নেয়া ৬৮টি উদ্যোগের মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৪২টি।
তবে কারখানায় অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ বিধিমালা কার্যকর, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার, পোশাকপল্লী স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রানা প্লাজার মামলায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিট আদালত আমলে নিয়েছেন। এ মামলায় ২৪ জন পলাতক অসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পরপর দুইবার সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দুদক কর্তৃক দায়ের ৪টি মামলার একটিতে কেবল চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ৩০ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর পর তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকাণ্ডের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে পোশাক শিল্প পার্কে তৈরির কাজে বিজিএমইএ’ র আগ্রহ কমে গেছে বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পণ্যের মূল্য ৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যায় টিআইবির প্রতিবেদন থেকে।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পে যে অগ্রগতি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। ক্রেতারা তাদের মূল্য বাড়ানোর কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারের মূল্য কমেছে উল্লখযোগ্য হারে। নীতি, অবকাঠামো ও আইনী কাঠামো কতোটা বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে নজর দিতে। কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ নিশ্চত করতে হবে।
মতামত লিখুন :