ডেস্ক রিপোর্ট : ‘যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পোশাক রফতানি কমেছে ৯.১১ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি ৫.১৯ শতাংশ কমেছে। এদিকে গত ২ বছরে গ্যাস সংকটসহ নানা কারণে আমাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ১৭ শতাংশ’। ‘ইউরো’র দরপতন, বেক্সিট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের কারণে বাংলাদেশি পণ্যের দরপতন হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পোশাক শিল্পের জন্য ঢাকার কাছাকাছি একটি এবং চট্টগ্রামের কাছাকাছি একটি শিল্প জোন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি’।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয়, ব্যবসা ছেড়ে দিই। কিন্তু যখন অসহায় শ্রমিক ভাইবোনদের চেহারা মুখের সামনে ভেসে ওঠে, তখন আবার উদ্যমী হয়ে ব্যবসায় ঝাঁপিয়ে পড়ি।’
গতকাল সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, একজন কারখানার মালিক ২৪৭ কনটেইনার পোশাক রপ্তানি করেছেন, কিন্তু এর বিপরীতে একটি ডলারও দেশে আসেনি। তাহলে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় করা বৈদেশিক মুদ্রা গেল কোথায়?
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন যে পোশাকশিল্প মালিকেরা পণ্য রপ্তানি করে আয় দেশে না এনে বিদেশে রাখছেন। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একজন ব্যক্তি যখন গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নিয়ে এ রকম ঢালাও মন্তব্য করেন, সেটি আমাদের পীড়া দেয়। তাঁর এই বক্তব্য আমাদের আহত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কোনো ব্যক্তি অসৎ কাজ করেন, তাহলে কাস্টমস ও এনবিআর সুষ্ঠু তদন্ত করে সেই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনছে না কেন? কেন তাঁর মুখোশ উন্মোচন করছে না?’
তৈরি পোশাক আমদানি ও রপ্তানির তথ্য কাস্টমস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আছে জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তথ্যের সমন্বয় করে অনিয়ম ধরা সম্ভব। ফলে কাস্টমস ও বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে সুষ্ঠু তদন্ত করে অসৎ ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিজিএমইএ কখনই তাঁর ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি এম এম মান্নান কচি ও মোহাম্মদ নাসিরসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
মতামত লিখুন :