Logo

তৈরী পোশাক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ

Fazlul Haque
সোমবার, মে ২৩, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : তৈরি পোশাক খাতের বিজনেস ট্রানজেকশন প্রসেসিং, পারফরমেন্স মূল্যায়ন, যোগাযোগসহ ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের এই খাতে এখনও পর্যন্ত সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ততোটা চোখে পড়ে না। অনেক গার্মেন্টস মালিক এ বিষয়ে না জানার কারণে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে চান না।
1_34515
রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত বিজটেক বিটুবি কনফারেন্সে প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন আলোচকরা।
আলোচকরা বলেন, যারা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল দিকগুলো বোঝেন তারা অনেকেই উচ্চদামে বিদেশ থেকে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিচ্ছেন। অথচ আমাদের দেশের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এসব সেবা নিলে খরচ অনেক কমে যেত। বিক্রয় পরবর্তী সেবায়ও গ্রহকরা ভালো সেবা পেতেন। তাই দেশের তৈরী পোশাক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো জরুরি।
প্যানেল আলোচনায় তৈরী পোশাক খাতের ওপর ইন্ডাস্ট্রি পেপার উপস্থাপন করেন বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান।
বেসিসের সাবেক সভাপতি ও সিএসএল সফটওয়্যার রিসোর্সেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম রাউলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, বেসিসের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম ও বিকেএমইএ’র পরিচালক সেলিম মাহমুদ।
আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরী পোশাক। এই খাতে রফতানিতে বিশ্বে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছর বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ৩২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে পোশাক খাত থেকেই আয় হয়েছে ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্যানেল আলোচনায় বলা হয়, পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় ২০২১ সাল নাগাদ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। আর সেটি বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর তৈরী পোশাক খাত! তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরী পোশাক খাতে ৮১ শতাংশ ভ্যালু অ্যাড করা সম্ভব।
আলোচকরা আরো বলেন,  আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তির বিকল্প নেই। আর দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার চাহিদা পূরণের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে আমাদের কোম্পানিদের। বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর তৈরি সফটওয়্যার বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো আন্তর্জাতিকমানের। দাম ও সেবার ক্ষেত্রেও সেগুলোতে বিদেশি  কোম্পানির থেকে বেশি সহায়ক।
তবে অনেকেই দেশের বাইরে থেকে সফটওয়্যার আমদানি করছে। তাই আপনাদেরকে দেশীয় কোম্পানির সফটওয়্যার ও সেবার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর তৈরী পোশাক খাত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছি।

তৈরী পোশাক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ

রবিবার সন্ধ্যায় পর্দা নামছে দেশের প্রথম ভিন্নধর্মী বিজনেস সল্যুউশন প্রদর্শনী বিজটেক বিটুবি কনফারেন্স। স্থানীয় বাজারে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার বাজারসম্প্রসারণে, প্রাইভেট সেক্টর অটোমেশন/ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিত করা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ও বেসিস যৌথভাবে এই কনফারেন্সের আয়োজন করেছে।
এই সম্মেলনে ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তৈরি পোশাক খাতের ওপর ইন্ডাস্ট্রি পেপার উপস্থাপন, আলাদা ৪টি প্যানেল আলোচনা, প্রদর্শনী এবং বিটুবি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।