ডেস্ক রিপোর্ট : বর্তমানে গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে ডাল দিয়ে ভাত খাবে, সেটারও উপায় নেই। কারণ মশুর ডালের বর্তমান কেজি ১৬০ টাকা। মাছের বাজার আকাশচুম্বী। পাশাপাশি বেগুন, পটল, কচুরমুখী, জালী কুমড়া ইত্যাদির মূল্য অবস্থা ভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাহলে বলুন শ্রমিক কি খেয়ে বাচবে?’
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সমমনা ৭টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনসমূহের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো: তৌহিদুর রহমান।
এতে তিনি আরো বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বাড়লেও শ্রমজীবী মানুষ যারা দেশ গড়ার কারিগর তাদের জীবন-জীবিকার জন্য মজুরী রিভিউয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা দৃশ্যমান। রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক দু’মুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে দেয়ার জন্য অবিলম্বে মজুরি পুনর্নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আজ অনস্বীকার্য। দেশের গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকরা দিনের পর দিন পুষ্টিহীনতায় ভুগে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। তাদের পরিবারের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ক্যালরির যোগান দিতে যে ধররের মজুরি প্রয়োজন আজ সেটা নির্ধারণে সরকারকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য নেতৃবৃন্দ আসন্ন অর্থবছরে বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১ হাজার টাকার প্যাকেজ মূল্যে ৩০ কেজি চাল, ১৫ কেজি আটা, ৫ কেজি ডাল ও ২ কেজি শিশু খাদ্য (গুঁড়ো দুধ) দেয়ার লক্ষ্যে রেশনিং চালু এবং ক্রমাগত বাড়ি ভাড়ার অত্যাচার থেকে শ্রমিক শ্রেণীকে রক্ষায় সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে ডরমেটরি নির্মাণে বিনা সুদে অর্থ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
আর এসব দাবিতে তারা আগামী ২৭ মে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল করবেন বলে নেতৃবৃন্দ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডরেশনের সভাপতি আলমগীর রুনী, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন শহীদ, সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ক মো: বজলুর রহমান বাবুল,পোশাক শিল্প শমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা রহমান, গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডরেশনের সাধারণ সম্পাদক নাসরীন আক্তার প্রমুখ।
মতামত লিখুন :