নিজস্ব সংবাদদাতা : সহকর্মীদের নির্মমতার শিকার হয়ে এক পোশাক কারখানা শ্রমিক এখন মৃত্যুশয্যায়। নির্যাতনে ছিঁড়ে গেছে তার পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
সঙ্কটাপন্ন ওই শ্রমিকের নাম ফাহাদ আহমেদ (১৮)। সে আশুলিয়ার বাসাইদ এলাকার ‘মোজার্ট নিট কম্পোজিট’ নামে একটি ডায়িং কারখানার হেলপার ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার চান্দাবাজার গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহকর্মীরা তার পায়ুপথে উচ্চমাত্রার হাওয়া মেশিন দিয়ে বাতাস ভরে চালায় এ নির্মম নির্যাতন। মৃত ভেবে তাকে কারখানার ভেতরে একটি নির্জনস্থানে ফেলে পালিয়ে যায় সহকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে।
ফাহাদের বোন জহুরা আক্তার জানান, সোমবার রাত নয়টার দিকে কারখানার ভেতরে ডায়িং সেকশনে ফাহাদ কাজ করার সময় ফয়সালসহ চার সহকর্মী হঠাৎ করেই তার মুখ চেপে ধরে এবং প্রেশার মেশিনের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তার প্যান্ট খুলে পায়ুপথে পাইপ ঢুকিয়ে প্রচ- শব্দে হাওয়া দেয়। এতে ফাহাদের পেট ফুলে যায়, ছিঁড়ে যায় নাড়ি-ভুঁড়ি। তারপর মৃত ভেবে তাকে কারখানার ভেতরে একটি নির্জন স্থানে ফেলে গা ঢাকা দেয় তারা। কর্মস্থলেই সামান্য কথা কাটাকাটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ফাহাদের অন্য সহকর্মীরা।
জহুরা আক্তার আরও বলেন, মানুষ এত নির্মম হতে পারে? পৈশাচিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে নাড়ি-ভুঁড়ি ছিঁড়ে ফেলতে পারে- তা কল্পনাও করা যায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা কারখানা থেকে পালিয়ে গেছে। এমনকি, তাদের বাসায় গিয়েও পাওয়া যায়নি।
সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ ডাঃ নাসির উদ্দিন জানান, ফাহাদের শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটাপন্ন। বর্তমানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
মতামত লিখুন :