ফজলুল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক : পোশাক কারখানায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরুপণ বিষয়ক দিনব্যাপি এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ মে শুক্রবার রাজধানীর উত্তরাস্থ হোটেল হাই গার্ডেন এর কনফারেন্স রুমে প্রশিক্ষণটির আয়োজন করে সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইনক.।
লিড ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইনক. এর কর্ণধার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আলীম। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন পোশাক কারখানা ও কারখানা পরিদর্শক কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান প্রশিক্ষক আব্দুল আলীম আরএমজি টাইমসকে জানান, রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিব্রত আমাদের পোশাক শিল্পকে নিরাপদ করমস্থলে পরিনত করতে যার যার অবস্থান থেকে ভুমিকা রাখতে হবে। পোশাক কারখানায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে আমরা এখনও যথেষ্ট অবগত নই। কর্মস্থলে ভিন্ন ভিন্ন সেকশন/কাজে ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুকি বিভিন্ন কারখানায় বিভিন্ন ধরনের হয়। কোন ঝুকিঁ কতোটা ভয়াবহ, এটি নিরুপণ ও প্রতিকার/প্রতিরোধ এর জন্য করণীয় আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। আজকের কর্মশালায় চেষ্টা করেছি, এই বিষয়টি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার জন্য যাতে তারা তাদের কারখানায় কাজে লাগাতে পারে। পোশাক কারখানায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কি কি ঝুকিঁ রয়েছে, কোন ঝুঁকিতে কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাব্যবতা ও প্রবলতা ইত্যাদি খুজে বের করে কিভাবে তা প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায় এসব বিষয়ই ছিল আজকের প্রশিক্ষণের মুল আলোচ্য বিষয়। আমি প্রত্যাশা করছি, অংশগ্রহণকারীরা নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন।
[metaslider id=1424]
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কলোসাস অ্যাপারেলস এর এজিএম টনি স্টা আনা বলেন, প্রশিক্ষণটি খুবই ফলপ্রসু ছিল। আজ প্রশিক্ষণে এসে বুঝলাম, প্রকৃত অর্থে কারখানায় স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ঝুকিঁ নিরুপণ ও তার প্রতিরোধের জন্য যেসব ব্যবস্থা রাখা হয়, তা যথেস্থো নয়। ঝুঁকির ধরণ ও তা থেকে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাব্যতা ও এর প্রবলতা পরিমাপের যে পদ্ধতি আজ জেনেছি, তা কারখানায় প্রয়োগ করলে দুর্ঘটনা এড়ানো অনেকাংশে সম্ভব হবে।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
মতামত লিখুন :