ডেস্ক রিপোর্ট : পায়ে হেঁটে প্রতিবাদকারী কারখানা শ্রমিক ও সংগঠকদের ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে পুলিশ। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় বলে শুক্রবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর এএফপি।
মিয়ানমারের সাবেক সামরিক জান্তার শাসন আমলে আন্দোলনকারীদের জন্য ছিল কঠোর দমনমূলক আইন। বলা হচ্ছে, দেশটির প্রতিবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত অং সান সু চির নতুন সুশীল সরকার এ কঠোর আইন সংশোধন করার পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনকারীদের এ ধরনের শাস্তি দিল মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে তিন সপ্তাহ আগে প্রতিবাদ কর্মসূচি হিসেবে পদযাত্রা শুরু করে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সাগাইংয়ের একদল শ্রমিক, যেখানে একটি কাঠকল থেকে সম্প্রতি ১০০ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। তিন সপ্তাহ ধরে হেঁটে আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোয় পৌঁছানোর পথে মিয়ানমারের পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আন্দোলনকারীদের পুলিশ আটক করার সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
তবে এ বিষয়ে তাদের দোষ নেই উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিকভাবে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন নেতাকে জিজ্ঞসাবাদ করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু বাকি আন্দোলনকারীরা সবাইকে আইনের আওতায় নিতে জবরদস্তি শুরু করেন। নেপিদোর আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান কো কো অং জানান, ৫০ জন শ্রমিককে বেআইনি সমাবেশ ও দাঙ্গার দায়ে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীতে পদযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। কঠোর হস্তে আন্দোলন দমনের পর প্রায় ২০ প্রতিবাদকারীকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ।
অর্ধশতাব্দী পরে বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পরও নেপিদো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি বলে বিবেচিত। নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ের পর বেশকিছু সংগঠক ও রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা এ আইনে অহিংস আন্দোলনের ওপর শাস্তি আরোপ করা হতে পারে এবং স্বল্পমেয়াদি কারাদণ্ড অব্যাহত থাকবে।
মতামত লিখুন :